প্রকাশিত: Tue, Jan 24, 2023 2:56 PM
আপডেট: Sat, Jun 28, 2025 6:27 AM

ডারউইনের প্রাকৃতিক নির্বাচনবাদ এবং ‘একশ্রেণির আলেম’

মুসা কলিম মুকুল

ডারউইনের প্রাকৃতিক নির্বাচনবাদ নিয়ে একশ্রেণির আলেম (জ্ঞানী)-এর ভেক ধরা লোক ক্রমাগত গীবত এবং মিথ্যাচার করে যাচ্ছে। এই তত্ত্বকে কল্পনাপ্রসূত, বৈজ্ঞানিক মহলে অননুমোদিত ইত্যাদি বলে বেড়াচ্ছে। এই তত্ত্বের ভবিষ্যৎ কী তা নিশ্চিত করে বিজ্ঞানীরা বলতে পারবে না। কিন্তু বর্তমান হলো, প্রজাতির উৎপত্তি-সহ লাইফ সায়েন্সের সর্বত্র ডারউইনের প্রাকৃতিক নির্বাচন তত্ত্বই প্রতিষ্ঠিত বিজ্ঞান, প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীনভাবে। 

ডারউনের ‘প্রজাতির উৎপত্তি’Ñ বইটি খুবই সুখপাঠ্য এবং সাধারণের কাছে সহজে অনুধাবনযোগ্য। একদম কঠিন নয়। বইটি পাঠ করে টু দা পয়েন্টের সমালোচনা করলে বিজ্ঞান উপকৃত হতো। এভাবে আলেমরা নতুন বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব দাঁড় করিয়ে বিজ্ঞান তথা মানবতার সেবা করতে পারতেন। 

ডারউইনের বইয়ে বর্ণিত অনেক তথ্যের সমালোচনা বিজ্ঞানমহলে করা হয়েছে। এতে তাঁর প্রাকৃতিক নির্বাচন তত্ত্ব আরও শক্ত ভিতের ওপর দাঁড়িয়েছে। আধুনিক জেনেটিক্স বিবর্তন তত্ত্বকে আরো সুপ্রতিষ্ঠিত করেছে। এককথায় সাবেক কালের ডারউইন বুড়োর কম দেখা ও অদেখা বিষয়গুলোকে সংশোধন করে আধুনিক বিজ্ঞান ডারউইনবাদকে আরো ঝকঝকে, আরো মজবুত আরো ধারালো করে তুলেছে। ডারউইনবাদ আধুনিক লাইফ-সায়েন্সের মেরুদণ্ড। ডারউইনের অবদানেই আধুনিক বিজ্ঞান এত শক্তিশালী। অথচ মিথ্যাচারী ও গীবতকারীরা তাদের অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি ও খিস্তি সহযোগে মাইক বাজিয়ে বলে বেড়াচ্ছে ডারউনবাদ বৈজ্ঞানিকভাবে ভ্রান্ত এবং বিজ্ঞানমহলে প্রত্যাখ্যাত। তাদের কি খোদাতালার ভয় নেই? বিচারদিনের ভয় নেই?

বিজ্ঞানের গবেষণালব্ধ ফ্যাক্টকে উল্টে দেওয়া ধর্মগ্রন্থের কাজ নয়। পাদ্রীরা এই কাজে নেমে যুগে যুগে ধর্মকেই অপমানিত করেছে, বিজ্ঞানের কোনো ফ্যাক্টকে এক চুলও নড়াতে পারেনি। বিজ্ঞান মহলে ডারউইনবাদের গ্রহণযোগ্যতাকে এবং তত্ত্ব হিসেবে এর সাফল্যকে স্বীকৃতি দিতে আমি বাধ্য। তাই বলে মা হাওয়া ও বাবা আদমকে শ্রদ্ধা জানিয়ে দোতরা বাজিয়ে স্রষ্টার ভক্তিগীত গাইতে আমার কোনো অসুবিধা হয় না। আপনাদের অনেকেই খোদার সেসব প্রশংসাগীত শুনেছেন। ডারউইন নিজেও ধার্মিক লোক ছিলেন। তিনি ছিলেন ভীষণ প্রকৃতি অনুরাগী মানুষ। কোনো আলেমের নামে গীবত করতে তাঁকে কেউ শোনেনি। নিশ্চয় গীবতকারী এবং মিথ্যাচারী (ফাসেক) অনন্ত দোজখকুণ্ডে নিক্ষিপ্ত হবে। ফেসবুক থেকে